খবর সংবাদদাতার:
সিলেটে আওয়ামীলীগের পুনর্বাসনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ আহবায়ক আব্দুর রহমান আফজাল। টাকার বিনিময়ে পালাতক ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে এনসিপিতে ভিড়াতে গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আফজাল নিজেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর কৌশলে এনসিপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে যান আফজাল। এরপর সিলেট জজ কোর্টে আদালত থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের জামিন করিয়ে দিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা কামিয়েছেন। সব কয়টি মামলায় তিনিই প্রধান আইনজীবি।
এদিকে গত ৩০ নভেম্বর গোলাপগঞ্জের চিহ্নিত প্রতারক কাওসার হোসেনকে সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্যাট আদালত থেকে পুলিশ বাদী মামলায় জামিন করান। কাওসার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেই কাওসারের মামলায় জামিনের দায়িত্ব নেন আফজাল নিজেই। জনশ্রুতি মতে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাওসারের জামিন করান। এড.আফজাল দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট এ.টি.এম মাসুদ টিপুর অধিনে সিলেট কোর্টে মহরির কাজ করেন। এরপর শেষ বয়সে এসে হয়ে যান অ্যাডভোকেট। একদিকে এনসিপির আহবায়ক অপর দিকে এডভোকেট এই দুটি পদই আফজালের ভাগ্য খোলে বসে। এখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। অভিযোগ উঠেছে তিনি এনসিপির সিলেট মহানগর কমিটিতে টাকার বিনিময়ে অনেক চিহ্নিত ডেভিলদের পুনর্বাসন করেছেন এবং এখনো সদস্য করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আদালতেও তিনি এনসিপি পরিচয়ে দাপট দেখাচ্ছেন। তাছাড়া মহানগর কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করেছেন।
সর্বশেষ গোলাপগঞ্জের টিকরবাড়ী গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে ১৫ মামলার পলাতক আসামী কাওসার হোসেনকে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সিলেট জেলা এনসিপির কমিটির সদস্য করেছেন। যা নিয়ে রিতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কাওসারের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি মামলায় কাওসারের জামিন করায় বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষা। তাহলে কি আফজাল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের এনসিপির সদস্য করে তাদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বিষয়ে এড.আফজালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়া তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞপ্তি