সিলেট প্রতিনিধি ঃ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফ্যাসিস্ট আওয়াশীলীগের সন্ত্রাসীরা এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর ফিসারীর মাছ চুরি করার খবর পাওয়া গিয়েছে। ব্যবসায়ী তাদের কথা মতো চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজরা রাতের আধারে জোর পূর্বক ব্যবসায়ীর ফিসারীর মাছ চুরি করে নিয়েছে। এতে ঐ ব্যবসায়ীর কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির তুড়–গাঁও গ্রামে। ক্ষয়ক্ষতির শীকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, আমার ভাই জাবের হোসেন দেশে থাকাকালীন তাদের ১০ একর ভূমি নিয়ে ফেসারী করেন। ফিসারীতে কয়েক রকমের মাছ চাষ করেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বাঘা ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা চাঁদাবাজ আব্দুস সামাদ জাকির হোসেন ভাই জাবের হোসেনের কাছে সময়ে সময়ে চাঁদা নিতেন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নেমে আসত নির্যাতন। আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা আর্জমন্দ আলী ও আজমান বাহিনী দিনে রাতে করতো নির্যাতন। এলাকার লোকজনও তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার কোন সাহস করতেন না। কয়েক বার চাঁদা দেওয়ার পরও যখন তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছেনা দেখে জাকির হোসেনের ভাই জাবের হোসেন প্রাণ বাঁচাতে গোপনে দেশ ছাড়েন। এরপর থেকে জাকির হোসেন জাবের হোসেনের ফিসারীর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর যখন দেশে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, তখন বাঘা ইউপির বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ দেখা যাচ্ছে। নদী ও হাওড় বেষ্টিত উক্ত ইউনিয়ন হওয়ায় সিলেট জেলার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাঘা ইউনিয়নে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। তাছাড়া সামাদ, আর্জমন্দ ও আজমান বাহিনীর অপ্রতিরোধ্য শক্ত অবস্থান থাকায় তাদের শেল্টারে বাঘা ইউপিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঘা ইউপির বিএনপির পদাধিকারী একজন নেতা জানান, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে বাঘা ইউপির জাতীয়তাবাদী ও জামায়াত নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। কারণ যাতায়াত ব্যবস্থার অনুন্নতির সুযোগ নিয়ে ও নদী-হাওড় বেষ্টিত সন্ত্রাসীরা এখানে এসে জড়ো হয়েছে। তারা লোকজনের উপর ভয়াবহ নির্যাতন করে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এখানকার নিয়মিত ঘটনা। প্রশাসনও এই এলাকায় কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকা ছাড়া।
সন্ত্রাসীদের কবল থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাই জাবের হোসেন এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কারণে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমিও এখানকার ফিসারী, ভূসম্পত্তি বিক্রি করে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছি। সন্ত্রাসী সামাদ আমাকে ফিসারী থেকে প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। চাঁদা না দিলে সে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে,, এখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় নায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আমাদের কাছে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের পেছনে আমাদের প্রচুর খরচ হচ্ছে। প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে তোকে প্রাণে হত্যা করবো। আমি চাঁদা না দিতে পারায় তারা আমার ফিসারীর কোটি টাকার মাছ জোর পূর্বক নিয়েছে।