সিলেটের এনসিপির পদপদবী নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সদ্য ঘোষিত মহানগর আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নানা ভাই খ্যাত অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজালের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। গোলাপগঞ্জের চিহ্নিত ডেবিল উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এনসিপির সিলেট জেলা কমিটির পদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন অ্যাডভোকেট আফসাল।
সিলেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলার আসামী জেলা এনসিপির সদস্য হয়েছে। অভিযুক্ত এই সদস্য হলেন মোঃ কাওসার হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য ঘোষিত সিলেট জেলা কমিটির সদস্য তিনি। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলা ছাড়াও প্রতারণা, ধর্ষণ, বলৎকার, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একাধারে বাস্তুহারা লীগ গোলাপগঞ্জ উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদকও। চব্বিশের পট পরিবর্তনের পর কাওসার হোসেন প্রথমে নিজেকে জামায়াতের সমর্থক বলে পরিচয় দিতেন। বাস্তুহারা লীগ ছেড়ে জামায়াতে যোগদান করতে না পেরে কৌশলে তিনি এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য হয়েছে। তার মামলার একজন আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এ পদে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা করেছেন জুলাই যোদ্ধা একলিম উদ্দিন। মামলা নং- ১৯৬/২৪। এছাড়া অপর আহত কামরান হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন কাওসারের বিরুদ্ধে। এই মামলায় সে ৮ নং আসামী। মামলা নং- ৩৭৩/২৪। বৈষম্য বিরোধী মামলা ছাড়াও রয়েছে চেক ডিজ অনার, প্রতারণা, ২১১ ধারার মামলা, মোটর সাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ ১৫টি মামলা। এর মধ্যে একাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। বর্তমানে সে পলাতক। পলাতক থাকাবস্থায় এনসিপির প্রোগ্রামে রোববার সিলেট শহীদ মিনারে ও মিছিলে সামনের সারিতে তার উপস্থিতি দেখা যায়।
সিলেট জেলা এনসিপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী কামরুল বলেন, কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের প্রোগ্রামে সে এসেছে। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।