ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব পোষণকারী, ইসলাম ধর্মের অবমূল্যায়নকারী, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী, নাস্তিক, মুর্তাদ, অধার্মিক ও LGBTQ এর প্রমোটকারি হওয়া সন্তানকে ত্যাজ্য করলেন বাবা
দীর্ঘদিন যাবত আমার অবাধ্য হইয়া বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে এবং ধর্মীয় কোন নিয়মনীতি মানে না, ধর্মীয় অনুশাসন অমান্য করিয়া ইসলাম/সমাজবিরোধী কার্যকলাপ করিতে থাকে, ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব পোষণকারী, ইসলাম ধর্মের অবমূল্যায়নকারী, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী, নাস্তিক, মুর্তাদ, অধার্মিক এবং প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করায় এক মুসলিম বাবা তার ছেলেকে ত্যাজ্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য করেন তিনি।
ওই বাবার নাম মো. লেবু মিয়া (৫১)। তার বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর বাজার ইউনিয়নের নুরপুর। আর অভিযুক্ত ছেলের নাম জাহিদ হাসান(২৫), জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ২৮৬২৮৯৫৭৭৪। জাহিদ এখন পলাতক আছেন বলে জানা যায়।
এর আগে দীর্ঘদিন যাবত আমার অবাধ্য হইয়া বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে এবং ধর্মীয় কোন নিয়মনীতি মানে না, ধর্মীয় অনুশাসন অমান্য করিয়া ইসলাম/ সমাজবিরোধী কার্যকলাপ করিতে থাকে, নাস্তিকপন্থী বই লেখালেখি করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হয় । ওই লেখালেখির কারণে অনেকে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। জাহিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
হলফ নামার মাধ্যমে মো. লেবু মিয়া জানান, আমি হলফকারী এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি হলফকারীর ঔরষজাত পুত্র সন্তান জাহিদ হাসান, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ২৮৬২৮৯৫৭৭৪, দীর্ঘদিন যাবত আমার অবাধ্য হইয়া বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে এবং ধর্মীয় কোন নিয়মনীতি মানে না, ধর্মীয় অনুশাসন অমান্য করিয়া ইসলাম/সমাজবিরোধী কার্যকলাপ করিতে থাকে। আমি পিতা হিসাবে ও আত্মীয় স্বজনসহ অনেকে তাহাকে সুধরানোর জন্য বহুবার চেষ্টা করিলেও সে আমার কথায় কর্ণপাত না করিয়া তাহার নিজের মত চলাফেরা করে। তাহার এহেন আচরণে আমি ও পরিবারের সদস্যগণ অতিষ্ঠ, সমাজে আমার মান সম্মান ভুলণ্ঠিত। তাহার এই অবস্থায় আমি তাহার বাবা হিসাবে পরিচয় দেয়া অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। বাবা হিসাবে আমার অন্য সন্তানদের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনায় এবং আমার ভবিষ্যত নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জীবন নির্বাহের স্বার্থে এবং স্থানীয় সালিশ মুরব্বিয়ান ও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে উক্ত জাহিদ হাসান এর সাথে আমি সর্বপ্রকার পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম। বাবা হিসাবে আমার পরিচয় দিয়া যদি কোন কাজ করে তাহার দায়ভার অদ্য হইতে আমি বহন করিব না, করিতে বাধ্য থাকিব না এবং আমি আমার যাবতীয় সহায় সম্পত্তির ভোগ ব্যবহার হইতে তাহাকে ত্যাজ্য প্রদান করিলাম।
তিনি জানান, আমার দুই ছেলে বর্তমান জীবিত আছে। আমার বড় ছেলে জাহিদ হাসান। সে কয়েক বছর যাবৎ ইসলাম বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলতে ছিল। কিন্তু তাকে অনেক বুঝিয়ে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। সে আমাদের কোন কথা না মেনে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এই সকল খারাপ কাজ ও বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করার কারণে আমি তাকে সঠিকভাবে জীবন যাপন করার পরামর্শ দিই। কিন্তু সে আমার পরামর্শ না মেনে আমার ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তার এরূপ আচরণের কারণে জনসম্মুখে আমরা নানা প্রকার প্রশ্নের সম্মুখীন ও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। বেশ কয়েক দিন থেকে আমাদের পরিবারকে কিছু না জানিয়ে জাহিদ চলে যায় ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি তিক্ত বিরক্ত ও মনে গভীর কষ্টে ভুগছি। তাই আমার ছেলে জাহিদের সঙ্গে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিন্ন করার মনস্থ করি। আজ থেকে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। জাহিদ আমার ছেলে না এবং আমি তার বাবা নই।
মোঃ লেবু মিয়া আরও জানান, জাহিদ আমাকে বাবার পরিচয় নিয়ে কোন কার্যকলাপ করলে আমি দায়ী না। আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করলাম। আমি জাহিদকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করলাম। বিজ্ঞপ্তি