স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দিনা’র শেল্টারে বেপরোয়া লাকি!কে এই লাকি?মুখোশের আড়ালে রয়েছে তার এক ভয়ংকর রুপ!লাকি আহমেদ সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছেন!এর শেষ কোথায়?প্রশ্ন সাধারণ মানুষের!লাকী আহমেদের ব্ল্যাক মেইলে অতিষ্ঠ নীরিহ মানুষ। নাম শুনলেই গাঁ শিহরিয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ। মুখোশপরা সেই মায়াবী চেহারার অন্তরালে রয়েছে ভয়ংকর এক রূপ, প্রথমে পরিচয় তারপর মিষ্টি মুখে কথা-আদান প্রদান, তারপর পর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ, রাত গভীর হলে মিষ্টি কথায় পরিচয়,ফোন আলাপে সখ্যতা। সময়-দিন, মাস যথ ঘনিয়ে আসে ততই সখ্যতা এতো গভীর হয়ে উঠে নেট জগতের জনপ্রিয় ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ,ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারে চলে নানা গোপনী তথ্য আদান প্রদান। নিজের চেহারা ও দেহের প্রতি আকৃষ্ট করতে পরনে শুধু একটি কাপড় রেখে সব খুলে কথা বলেন ফোনে। অপরপ্রান্ত থেকে কথা বলা সেই ব্যক্তিকে কথার রসিকতার ফাঁদে ফেলে উলঙ্গ করে নেন গোপনীয় ভিডিও,স্ক্রিনশর্ট তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের অনেক দূর্বলতার অভিনয় দেখিয়ে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হন। তখন সময় ও সুযোগে,গোপনে স্পাই ক্যামেরার মাধ্যমে করেন একান্ত মিলনের ভিডিও চিত্র কিংবা খারাপ ছবি গুলো। এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর শুরু হয় তাহার চেহারা বদলানোর পালা। ওই ব্যক্তিকে জিম্মি করে আদায় করা হয় লক্ষ-লক্ষ টাকা।নিজের ক্যারিয়ার, পরিবার পরিজনের সম্মানের ভয়ে সেই নেত্রীকে মাসিক দিতে হচ্ছে বখরা, বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে নেত্রীর মেয়ের লেখাপড়া, তার মা-নানীসহ পরিবারের সকল খরচ বহন করতে হয়। তাতে তিনি চলেন বিলাস বহুল ভাবে। সিলেট রাজনীতি অঙ্গনে রয়েছে বিশাল এক ক্ষমতার ধাপট, নেতাদের কাছে বড় আপনজন সে, কিন্তু যিনি তার ফাঁদে পড়েছেন তিনি মহাবিপাকে।সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা জানা জানি হলে এসব অপকর্ম আড়াল করতে যোগদেন সাংবাদিকতায়। অনুমোদনহীন সিলেটের একটি ফেসবুক লাইভ ফেইজ টিভিতে করতে থাকেন ধারাবাহিক লাইভ। এতে আরও জনপ্রিয়তা লাভ করেন, ক্ষমতার ধাপট বেড়ে যায় দ্বিগুন। তখন তিনি সিলেটের একমাত্র নারী সাংবাদিক হিসেবে ক্ষমতার বিচরণ ঘটাতে থাকেন সিলেট নগরীর বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের নিকট । তাতে তার সেই অন্তরালের ব্যবসা আরও জমজামট হয়ে উঠে।মাদক বাণিজ্য,পতিতা সাপ্লাই সহ কন্ট্রাক্টে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে মানুষের জীবন ধ্বংস করতে তার রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট!র্যাব এর সোর্স হিসেবে লাকি ইতিমধ্যে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীকে ফাঁসিয়েছেন তার নিজস্ব স্টাইলে।অনেকেই মুখ খুলছেন আবার কেউ কেউ প্রাণভয়ে নিরব রয়েছেন।লাকি র্যাব এর সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ওয়াটসাপ,মেসেনজারে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি,হুমকি ও চাঁদা দাবির মতো গুরুতর তত্ত্ব পাওয়া যায়।লাকি ইদানীং নিজের অপরাধ কর্মকাণ্ড ঢাকতে যোগ দেন নারী সাংবাদিকতায় এবং বিভিন্ন সংগঠনে,তার একটাই টার্গেট সমাজে নিজেকে সেইভ করে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া।
লাকী আহমেদ সিলেট নগরীর কতোয়ালি থানাধীন মুন্সিপাড়া ১০/আই এর বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন। সে মৃত হরমুজ আলী ও পারুল বেগম এর মেয়ে। তার নানার বাড়ি ময়মনসিংহে, লাকীর বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জে। লাকীর বাবা হরমুজ আলী ছিলেন রাজমিস্ত্রী, কোন মতে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে দৈনন্দিন জীবন যাপন করতেন। কিন্তু লাকির মা পারুল বেগম ওরফে চিকন পারুল এর বেপরোয়া চলাফেরা ও অসদাচরণের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান হরমুজ আলী। শুরু হয় পারুল বেগম আর হরমুজ আলীর অন্য জীবন। স্বামীর অবর্তমানে শুরু করেন পরকীয়া। তখন তৎকালিন হরমুজ আলীর বাসা ছিলো কাজলশাহে। কাজকর্ম করার সুবাধে হরমুজ আলী স্থায়ী বসবাস শুরু করেন সিলেট নগরীতে।
অনুসন্ধানে যানা যায়,লাকির মায়ের বিয়ে হয় ৪টি,নানী ছকিনা ওরফে কানা ছকিনার বিয়ে হয় ৫টি। লাকির মা পারুল বেগম ও নানী ছকিনার প্রত্যেকটি সংসার ভেঙে যায়। এতে যে যার মতো বেপরোয়া চলাফেরা,অসদাচরণ ও পর পুরুষে আসক্তিতে লিপ্ত হন। মানুষ বলাবলি করে, যেমন নানী, তেমন মা, আর তেমনি মেয়ে লাকি।
লাকির মা পারুল বেগম ওরফে চিকন পারুল হরমুজ আলীর সাথে সংসার করাকালীন সময়ে দক্ষিণ সুরমার একজন পুরুষের সাথে মোবাইল ফোনের সম্পর্কের জের ধরে পালিয়ে যান।সেখানেও তার সংসার বেশিদিন ঠিকে নাই।লাকির নানী সকিনা বেগম ওরফে কানা সকিনার চতুর্থ স্বামী সুইপার লিয়াকত আলী নিজে সকিনার বিভিন্ন পরকীয়া আসক্তির কারণে রাগে,দুঃখে ও অশান্তিতে সকিনার দুই চোখে চোনা ঢেলে দেন এবং সেই থেকে আজ অবধি লোকে তারে কানা সকিনা হিসেবেই জানে।মুন্সিপাড়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চিকন পারুল,কানা সকিনা ও প্রতারক লাকির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ।কোনো কিছুর তদবিরের প্রয়োজন হলেই লাকি মুক্তিযোদ্ধা,আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালিক এর নাম ভাঙিয়ে পার পেয়ে যায়।লাকি আব্দুল খালিককে তার আপন চাচা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাত খুন মাফ হয়ে যায়।এভাবেই চলছে লাকির অন্য জীবন।যে কথা বলবে তার উপরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দেয়,সর্বশেষ মামলায় গোল খেতে লাগলে প্রতারক লাকি এক সময় নারী শিশু নির্যাতন মামলা পর্যন্ত দেয় তাদের উপর।এক কথায় লাকি যার উপর কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয় তাকে বিভিন্ন রকম মামলায় জড়িয়ে দেয়।
লাকির বিয়ে হয় নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার রংমিস্ত্রি আইনুলের সাথে,আইনুল লাকির যাবতীয় লেখাপড়ার খরচ দিয়ে লেখাপড়া করিয়ে বিয়ে করিয়ে নেন। এক সময় যখন লাকীর রাজনীতিতে বিচরণ শুরু হয়। বিপত্তি হয়ে দাঁড়ায় স্বামী আইনুল। সেই রং মিস্ত্রী স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে বাদে লাকীর সামাজিক বিপত্তি। স্বামীর পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে মানুষে কাছে। লাকীর পদ মর্যাদা যখন হয়ে যায় যুব মহিলা লীগ সিলেট মহানগর এর সাংগঠনিক সম্পাদক। তখন সংসার থেকে পুরো আলাদা হয়ে যান, চলতে থাকেন নিজের মতো করে। একটি খোলা তালাক সূত্রে উল্লেখ্য যে,লাকী আহমেদ তার বিভিন্ন বিবাহের তালাক নোটিশে নিজ নাম উল্লেখ করেছেন লাকি বেগম,এনআইডিতে লাকী আক্তার আবার মিডিয়া ও রাজনীতি অঙ্গনে লাকি আহমেদ নামে প্রচার চালাচ্ছেন।মুন্সিপাড়ার গিয়াস উদ্দিন এর ঘনবসতি কলোনিতে লাকি তার মা,নানী ও মেয়েকে নিয়ে পুরুষহীন সংসার চলছেই।
লাকি সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ইউএনডিপি প্রকল্পের কমিউনিটি টিম লিডার হিসেবে কাজ করে আসছেন। লাকির বিরুদ্ধে একজন ভূক্তভোগী ১৮/০৯/২৩ ইং তারিখে মহা পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর,আগারগাঁও বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়,একই সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসক কে অভিযোগ দিয়ে অবগত করা হয়েছে।তদন্ত স্বাপেক্ষে লাকিকে বরখাস্ত করা হয়।তাছাড়া লাকি আহমেদ এর বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রতারণা কার্যকলাপের অভিযোগ এনে অনেক ভূক্তভোগী মুখ খুলতে শুরু করেছেন!লাকির বিভিন্ন মামলার বিবরনীতে তিনি মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মামলায় যাদের স্বাক্ষী মানত করেন, তারা এসব ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন মর্মে তারা জানান।লাকি সম্পূর্ণ মিথ্যা তত্ত্ব ও রুপ কথার কল্প কাহিনি বানিয়ে,নাটক সাজিয়ে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়েও একটি মামলা করেন। মামলায় পত্রিকার দুই সম্পাদক সহ আরো ৩ জনকে বিবাদী করেন।কিন্তু আদালতে লাকি নির্যাতনের প্রমান দিতে না পারায় মামলাটি প্রথমে আমলে না নিয়ে এমসি রিপোর্ট আনার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় পরবর্তীতে ওসিসি কর্তৃপক্ষ/ডাক্তার এমসি রিপোর্টে নো সাইন হিসেবে উল্লেখ করেন।বর্ণিত লাকি আহমেদ ঘটনার দিন তারিখ ও সময়ের বিষয়ে জোরপূর্বক অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়ে ডাক্তারি রিপোর্ট সম্পূর্ণ তার বিপক্ষে থাকার পরও তিনি একের পর এক যোগাযোগী মামলা করা অব্যাহত রাখছেন।উল্লেখ্য যে,লাকি একের পর এক মামলা দিয়ে কাবু করতে না পারায় এই নারী-শিশু নির্যাতন মামলাকে বর্তমানে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ও রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তিদের নিকট তদবীর করে যাচ্ছেন।মানুষের কাছে গিয়ে স্বার্থের সময় পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে আবেগ জড়িয়ে মিশন বাস্তবতায়ন করতে তিনি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কিন্তু তার বাহিরের চলাফেরা,গতিবিধি,পোষাক-পরিচ্ছেদ ও চিৎকার দিয়ে মুখবাজি দেখলে কেউ কল্পনাই করতে পারবেনা যে,সে এতোটা হিংস্র,বেপরোয়া ও চতুর অভিনেত্রী!
ঢাকার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শাহজাহান এর সাথে শুরু করে প্রণয় বিয়ে এবং প্রায় সময় লাকি ঢাকায় গিয়ে থাকা শুরু করেন। কখনও শাহজাহান সিলেটে এসে লাকিকে নিয়ে এয়ারপোর্টে হোটেল গ্রান্ড রিসোর্টে রাত্রিযাপন করতেন। এ ভাবেই কয়েক মাস চলার পর শাহজাহান এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে তাকে বাদ দিয়ে সৌদি আরবের কবিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শুরু হয় প্রেমের দহরম-মরহম। তারপর কবির দেশে আসলে তাকে বিয়ে করেন। তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় লাকী আহমেদ। শেষে মুন্সিপাড়ার এক বিএনপি নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। অন্তরালে চলে এভাবে এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজার এলাকার জনৈক ব্যক্তির সাথে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে লাকি এক সময় ওই ব্যক্তির সাথে ছবি,ভিডিও সেক্স ও চ্যাটিং ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি ব্লাঙ্ক চেক ও ৫ ডেসিমেল জায়গা লিখে নেয় রেজিস্ট্রারী করে নিজের নামে। তারপর তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় লাকী।আর লাকিকে পুরোপুরি গোপনে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী ডাক্তার দিনা,জান্নাতুল ফেরদৌস তৃষ্ণা,সৈয়দা রোকেয়া সুলতানা।গভীর রাতেও চলে অফিস কিংবা নেত্রীদের বাসায় আড্ডা,আর যোগদেন তথাকথিত কিছু অন্যরকম পুরুষ-মহিলা,নেপথ্যের আড়ালে কি হচ্ছে?বিস্তারিত আসছে আগামী সংখ্যায়।